জীবনে এমন কত বিচ্ছেদ, কত মৃত্যু আছে, ফিরিয়া লাভ কি? পৃথিবীতে কে কাহার…

Archive for the ‘অবাক বাংলাদেশ’ Category

টাঙ্গাইলে কু-প্রস্তাবের জেরে পুরুষাঙ্গ হারালো

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বারবার কু-প্রস্তাব দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এক যুবতী ব্লেড দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে মাসুদ রানা (২৫) নামে এক যুবকের। মুমূর্ষু অবস্থায় মাসুদকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। মাসুদের বাড়ি জামালপুর জেলা সদরের নারায়ণপুর গ্রামে। সে এ উপজেলার ধেরুয়া এলাকায় অবস্থিত নাসির গ্লাস ফ্যাক্টরিতে স্টোরকিপার পদে কর্মরত বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, মাসুদ দীর্ঘদিন ধরে সোহাগপাড়া এলাকায় বসবাসরত গাইবান্ধা জেলার এক যুবতীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। মঙ্গলবার রাতে যুবতী কৌশলে মাসুদ রানাকে ধেরুয়া এলাকার নিরিবিলি হোটেলে আসতে বলে। কথামত সে ওইখানে আসে। পরে মাসুদ ওই যুবতীর সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক করার চেষ্টা করলে যুবতী ক্ষিপ্ত হয়ে ব্লেড দিয়ে তার পুরাষাঙ্গ কেটে দেয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় মাসুদকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপার কুমুদিনী হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের দায়িত্বপালনকারী ডাক্তার মোস্তাকিম বলেন, পুরুষাঙ্গ ব্লেড জাতীয় ধারালো কিছু দিয়ে কাটা হয়েছে। অপারেশনের পর তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

রূপগঞ্জে দুই স্বামীর এক বউ!

রূপগঞ্জে শাহিনুর আক্তার (২২) নামে এক যুবতীকে স্ত্রী দাবি করে ২ যুবকের মধ্যে হাতাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয় জনতা তাদের ৩ জনকেই আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বুধবার সকালে রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের কালনী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, ৮ মাস আগে আড়াইহাজার উপজেলার সাতগাঁও গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে শাহিনুর আক্তারের সঙ্গে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কাদির মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়নের বিরলবাড়ি এলাকার আব্দুল কাদিরের ছেলে বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে শাহিনুর আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে বেলায়েত হোসেনের কাছ থেকে শাহিনুর আক্তার ৩ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেন।
২ মাস আগে শাহিনুর আক্তার বেলায়েত হোসেনকে বিয়ে করেন। বুধবার সকালে দ্বিতীয় স্বামী বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের কালনী বাজার এলাকায় দেখা করতে আসেন শাহিনুর আক্তার। ঘটনাক্রমে সেখানে হাজির হন প্রথম স্বামী কাদির মিয়া। এরপর এক স্ত্রীকে নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয় লোকজন তাদের তিন জনকেই আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
পরে তাদের ৩ জনকেই নারায়ণগঞ্জ আদালতে পঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বাংলাদেশে ৩০% নারী স্বামীর ভয়ে অনিচ্ছায় যৌন সম্পর্কে বাধ্য হন

বাংলাদেশের বিবাহিত নারীদের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি জীবনের কোনো না কোনো সময় স্বামীর মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের শিকার হনl ২০ থেকে ৩৪ বছর বয়সী বিবাহিত নারীরা এ নির্যাতনের ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছেন l
শহরের তুলনায় গ্রামে এ ধরনের নির্যাতনের ঘটনা বেশি ঘটেl ৩০ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, স্বামীর ইচ্ছা অনুযায়ী যৌন সম্পর্ক না করলে স্বামী কী না কী করবে; সে ভয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য হন l
এ তথ্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথমবারের মতো নারী নির্যাতন নিয়ে ‘ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন (ভিএডব্লিউ) সার্ভে ২০১১’ শীর্ষক জরিপের l
এই জরিপে বলতে গেলে প্রায় অপ্রকাশ্য এ ধরনের যৌন নির্যাতনের চিত্রটি প্রকাশ পেয়েছেl গত ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জরিপটি প্রকাশ করা হয় l
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় ২০১১ সালের ১৯ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয় l
জরিপে স্বামীর মাধ্যমে যৌন নির্যাতন বলতে স্ত্রীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করা, স্বামীর নির্যাতনের ভয়ে শারীরিক সম্পর্কে সম্মত হওয়া, শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াও স্ত্রীকে এমন কিছু করতে বাধ্য করা যা স্ত্রী করতে চান না অথবা এতে অপমানিত বোধ করেন অথবা অন্যান্য যৌন নির্যাতনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছেl এতে ১২ হাজারের বেশি নারী তথ্য দিয়েছেন l
স্বামীর মাধ্যমে যে যৌন নির্যাতন হয়, সেটিকে ‘নির্যাতন’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘl তবে বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (২০০০, সংশোধিত ২০০৩) বিবাহিত নারীদের যে যৌন অধিকার আছে বা স্ত্রীর অমতে স্বামী যে কোনো ধরনের যৌন আচরণ করতে পারেন না, সে বিষয়টির স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি l
এ আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো পুরুষ বিবাহবন্ধনের বাইরে ১৬ বছরের অধিক বয়সী কোনো নারীর সম্মতি ছাড়া বা ভয় দেখিয়ে বা প্রতারণা করে সম্মতি আদায় করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে, তা ধর্ষণ হবেl অর্থাত্, এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয়টিকে আমলে নেওয়া হয়নি l
অন্যদিকে একই আইন বলছে, ১৬ বছরের কম বয়সী কোনো নারীর সঙ্গে সম্মতি বা সম্মতি ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক করলে তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবেl তবে এ ক্ষেত্রেও সমস্যা আছেl দেশের বিদ্যমান বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়ের বিয়ে হলে তা বাল্যবিবাহ বলে বিবেচিত হবেl এ আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও বিয়েটা বৈধ হবেl বিয়ে বৈধ হলে স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার অধিকারপ্রাপ্ত হনl তাই তখন স্ত্রীর সম্মতি বা ইচ্ছার বিষয়টি গৌণ হয়ে যায় l
তবে ২০১০ সালের পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনে যৌন নির্যাতনের বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছেl তবে এ আইনেও বিষয়টিকে সেভাবে স্পষ্ট করা হয়নিl আইনে যৌন প্রকৃতির এমন আচরণ যা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির সম্ভ্রম, সম্মান বা সুনামের ক্ষতি করে, তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছেl এ ছাড়া এ আইনে শারীরিক নির্যাতনের ক্ষেত্রেও জীবন, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা বা শরীরের কোনো অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এবং বলপ্রয়োগের বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছেl তাই বিবাহিত নারীদের এ আইন ব্যবহারের একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছেl তবে নতুন আইন এবং আইনটির প্রচার কম থাকায় যৌন অধিকারের বিষয়ে আইনি সুরক্ষা নেওয়ার নজির নেইl
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) অবৈতনিক পরিচালক সারা হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের সমাজে এ ধরনের নির্যাতন যে ঘটছে, তা নিয়েই কেউ মুখ খুলতে চাইতেন নাl তথ্য হাতের কাছে ছিল না বলে নীতিনির্ধারকদের কাছে বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরা সম্ভব হয়নিl এখন বিবিএসের জরিপকে ভিত্তি ধরে আইনি সুরক্ষার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবেl

সবচেয়ে কম বয়সী মা লিনা মেদীনা

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী মা লিনা মেদীনা। যে মাত্র ৫ বছর ৭ মাস ১৭ দিন বয়সে তিনি মা হয়েছিলেন।তিনি বর্তমানে পেরুর রাজধানী লিমাতে বসবাস করছেন।মেদীনাকে তার বাবা মা অস্বাভাবিক ভাবে পেট বড় হওয়ার কারণে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাকে ৭ মাসের গর্ভবতী ঘোষণা করেন।
সার্জারির আগে তার চিকিৎসক ডা. গেরারডো লোজাডা তাকে পেরুর রাজধানী লিমাতে নিয়ে যান অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সাথে নিশ্চিত হতে যে সে সত্যিই গর্ভবতী।জন্মের সময় মেদীনার ছেলের ওজন ছিল ২.৭ কেজি এবং তার চিকিৎসকের নামে “গেরারডো” নাম রাখা হয় ছেলের।
সে সুস্থ ভাবেই বেড়ে ওঠে কিন্তু ৪০ বছর বয়সে বোনম্যারোর রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে।মেদীনা কখনোই তার সন্তানের পিতা এবং তার গর্ভধারণের রহস্য প্রকাশ করেননি।শিশু যৌন নিপীড়নের দায়ে তার বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ না পাওয়াতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এবং তার সন্তানের সত্যিকার বাবা কে তা অনেক চেষ্টার পরও এখনো উম্মোচন করা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে আজও এর ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি যে, ৫ বছরের একটি শিশু কি করে গর্ভবতী হয়।যৌবনে মেদীনা ডা. লোজাডার লিমা ক্লিনিকে সহকারীর চাকুরী করেন। ১৯৭২ সালে মেদীনা রাউল জরডো কে বিয়ে করেন।

নবদম্পতি : পাত্রীর বয়স ৬০, পাত্র ১৮

কনের নাম আয়েশা বেগম, বয়স ৬০ বছর। আর বরের নাম আবু সাঈদ, বয়স ১৮ বছর। বিয়ে করলেন তারা। তবে এ বিয়ের আগেও তাদের মধ্যে মন দেয়ানেয়ার সম্পর্ক ছিল। আয়েশা চায়ের দোকানি। হালুয়াঘাট সদরের রাংরাপাড়া একাডেমি মোড়ে তার চা দোকান।

এলাকাবাসী জানায়, আয়েশা বেগম রাংরাপাড়া একাডেমি মোড়ের একজন চায়ের দোকানি। তার স্বামী প্রায় ১৫ বছর আগে মারা গেছে। আয়েশা বেগমের ২ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান রয়েছে। কন্যাদের বিয়ে দিয়েছেন। তাদের ঘরে নাতি-নাতনীও রয়েছে। অপরদিকে আবু সাইদ নলকুড়া গ্রামের রহিমা খাতুনের ছেলে। ছোটবেলায় তার পিতার মৃত্যু হয়। মানুষের বাড়িতে কাজ করে তার মা রহিমা দিনাতিপাত করে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আবু সাইদ আয়েশার বাড়িতে মাটিকাটার কাজ করত। সেখান থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে উক্ত প্রেমের সম্পর্ক জোরালো হলে ১৩ জানুয়ারি তারা ময়মনসিংহ জেলা নোটারি পাবলিকে উপস্থিত হয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করে।
বৃদ্ধ বয়সে কেন কম বয়সী যুবককে বিয়ে করলেন জানতে চাইলে, আয়েশা খাতুন বলেন, এ বয়সে আমি একজন আমার মাথার ছাতা খুঁজে পেয়েছি। আবু সাইদের কাছে এত বুড়ো মহিলাকে বিয়ে করার কারণ জানতে চাইলে সে জানায়, আমার চোখ দিয়ে তো দেখতে পান না। যদি আমার চোখ দিয়ে দেখতেন তাহলে এমন বলতেন না। আমার ভাল লেগেছে, আমরা ভালবেসে বিয়ে করেছি এখানে বয়স আসছে কেন?
উৎসুক জনতা বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন এই নবদম্পতিকে দেখতে আসছে। এ ঘটনায় আয়েশা খাতুনের আত্মীয়স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ ও এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

স্ত্রী, স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলে দিল

আর পাঁচটা দিনের মতই স্ত্রীকে লুকিয়ে ইন্টারনেটে বান্ধবীর সঙ্গে চুটিয়ে প্রেমপর্ব ব্যস্ত ছিল স্বামী । চোখে ঘুম চলে আসায় চেয়ার থেকে স্বামী উঠে পড়তেই বাধে লঙ্কাকাণ্ড । স্ত্রী এসে কম্পিউটার বন্ধ করতে এসে স্বামীর প্রেমের কীর্তি দেখে ফেলে । বিশ্বাসভঙ্গের জ্বালা আর রাগে এরপর স্ত্রী করে বসলেন এমনি এক কাজ যা শুনে গোটা বিশ্ব শিউরে উঠল । রাগের মাথায় কাঁচি দিয়ে ঘুমন্ত স্বামীরগোপনাঙ্গ কেটে জানলার বাইরে ফেলে দেয় স্ত্রী ।
পরে দেখা যায় সেইগোপনাঙ্গ নিয়ে পালায় কুকুরে । এমনই ঘটনা ঘটেছে চীনে । দুই সন্তানের বাবা ৩২ বছরের সেই স্বামী এখন ভর্তি হাসপাতালে । স্ত্রীকে এই অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে । স্ত্রী অবশ্য বলছেন, রাগের মাথায় এমনও করে ফেলেছেন, তিনি আবার তিনি স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান ।
কোনও কোনও সংবাদামধ্যমে এমনও খবর প্রকাশিত হয়েছে যে একবার নয়, দুবার স্বামীরগোপনাঙ্গ কেটে দেয় ২১ বছর বয়েসের স্ত্রী ঝাং হুং । প্রথমে ঘরেগোপনাঙ্গ কাটার চেষ্টায় পুরোপুরি সফল না হওয়ার পর স্ত্রী হাসপাতালে ঢুকে সবার আড়ালে আবার স্বামীরগোপনাঙ্গ কেটে হাসপাতালের জানলা থেকে ফেলে দেয় । হাসপাতালের কর্মীরা জানান, এরপর অনেক খোঁজার পরেও কেটে ফেলাগোপনাঙ্গ এর খোঁজ মেলেনি ।

প্রকাশ্যে ধূমপানকারী হবেন ‘শ্রেষ্ঠ টাউট’

প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ করতে সরকার নতুন একটি আইন করতে যাচ্ছে। আইনটি বাস্তবায়ন হলে প্রকাশ্যে ধূমপানকারীকে নগদ অর্থদণ্ডসহ জেলার ‘শ্রেষ্ঠ টাউট’ ঘোষণা করা হবে। রবিবার চাঁদপুর জেলা প্রশসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় এমন তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন।
তিনি বলেন, প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধে দেশের প্রচলিত আইনে বিভিন্ন মেয়াদে ধূমপায়ীদেরকে সাজা ও অর্থদণ্ড করা হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকেই। তারপরও প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ করতে নতুন এ আইন বাস্তবায়ন করা হলে প্রকাশ্যে ধূমপানকারীকে নগদ অর্থদণ্ডসহ জেলার ‘শ্রেষ্ঠ টাউট’ ঘোষণা করা হবে। আশা করছি- কেউ যদি স্বেচ্ছায় ‘টাউট’ খেতাব পেতে না চান, তবে প্রকাশ্যে ধূমপান করা ছেড়ে দেবেন।
যে কোনও মূল্যে চাঁদপুরের আইনশৃঙ্খলা ও পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, অবরোধের সময়ে যানবাহনগুলো যাতে নিরাপধে চলচল পারে, সেজন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশি প্রহরার মাধ্যমে ভারী যানবাহন ও তেলবাহী লরীগুলো চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শ্যালিকাকে নিয়ে পালালেন আপন দুলাভাই!

৬ জানুয়ারি সকালে বিদ্যালয়ে আসার কথা বলে দক্ষিণ জোয়ারা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে, ফাতেমা জিন্নাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী তসলিমা আক্তার সুমি (১৪) আপন বড় বোনের স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের সাথে পালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তসলিমার বড় বোনকে তাদের বাড়িতে রেখে তসলিমাকে নিয়ে পালিয়ে গেছে আপন দুলাভাই জাহাঙ্গীর আলম। তাদের দুই জনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত প্রেম নিবেদন চলছে বলে এলাকায় গুজন রয়েছে।
ঐ দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তসলিমা বাড়িতে না আসায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তা বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজন সন্দেহ করছে জাহাঙ্গীর আলম তার শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়েছেন।
জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলার কানাইমাদারী বলে সূত্রে জানা গেছে। স্ত্রীকে তার বাপের বাড়িতে রেখে তারই ছোট বোন তছলিমা আক্তার সুমি (১৪) কে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে চন্দনাইশ উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

উদ্দেশ্য ‘ভালো’ থাকলে, গোপনে তরুণীর গোসল করা দেখলে দোষ নেই!

উদ্দেশ্য ‘ভালো’ থাকলে কোনো তরুণীর গোসল করা দেখলে দোষ নেই। এতে কোনো পাপ হবে না। এমনই এক আজব ফতোয়া দিয়েছেন মিশরের এক আলেম। উসামা আল-কোয়াইসি নামের ওই আলেম বলেছেন, “আপনার উদ্দেশ্য যদি ভাল বা সৎ হয়, তা হলে গোপনে মেয়েদের গোসল করা দেখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মেয়েদের নগ্ন শরীর দেখা অন্যায় নয়। এতে কোনো পাপ নেই।” খবর গালফ নিউজের।
ফতোয়ায় ভালো বা সৎ উদ্দেশ্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন উসামা আল-কোয়াইসি। তিনি বলেছেন, “যদি কোনো মেয়েকে বিয়ে করার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে বিয়ের আগে গোপনে বা চুপিসারে তার গোসল করার দৃশ্য দেখা যেতেই পারে।
অবশ্য আজব এ ফতোয়ার সঙ্গে অদ্ভূত কিছু শর্তও দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, গোসল করার দৃশ্য অবশ্যই লুকিয়ে দেখতে হবে। বিয়ের আগে যেন সংশ্লিষ্ট মেয়েটি কোনোভাবেই বিষয়টি জানতে না পারে। বিয়ের আগে জেনে ফেললে আপনার উদ্দেশ্য আর ‘সৎ’ থাকবে না। তবে বিয়ের পর তাকে বিষয়টি জানানো যাবে।
নিজের এমন আজব ফতোয়ার সমর্থনে তিনি মহানবীকেও টেনে এনেছেন। বলেছেন, “একবার তার (নবীজির) এক সঙ্গী এই কাজ করে ধরা পড়েছিলেন। ধরা পড়ার পর তাকে জিজ্ঞাস করা হয়েছিল, আপনি নবীজির সঙ্গী। এমন কাজ করতে লজ্জা করল না? তখন সেই ব্যক্তির পক্ষ নিয়ে নবীজি উত্তর দিয়েছিলেন, যদি ওই নারীকে বিবাহ করার বাসনা তোমার থাকে, তা হলে এতে অন্যায় নেই। তুমি এ কাজ করতেই পারো।”
উসামা অল-কোয়াইসির এ ফতোয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। খোদ সরকার এতে বিব্রত, বিরক্ত। দেশটির ধর্মমন্ত্রী মহম্মদ জুমা কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। কিসের ভিত্তিতে তিনি এ ফতোয়া দিয়েছেন, জানতে চেয়েছেন তা।
শুধু তাই নয়, ক্ষুব্ধ মন্ত্রী ফতোয়াদাতা কোয়াইসির কাছে প্রশ্ন রেখেছেন, তিনি তার মেয়ের গোসল করার দৃশ্য অন্যরা দেখলে মেনে নেবেন কি-না। মন্ত্রী বলেন, মুসলিম হোক, খ্রিস্টান হোক, সব মিশরীয় ধর্মপ্রাণ, সভ্য এবং বিশ্বস্ত। কোয়াইসির ফতোয়া এসবের পরিপন্থী।
এই অদ্ভূত ফতোয়া নিয়ে বিতর্ক শুরুর পর থেকে অবশ্য সুর পাল্টেছেন উসামা আল-কোয়াইসি। তিনি বলেন, এই ফতোয়া দশ বছর আগে দিয়েছিলাম। তার দাবি, অনলাইনে সক্রিয় চরমপন্থীদের একটি দল এ ফতোয়া এবং এ ধরনের আরও অনেকগুলোকে তার সম্মানহানির উদ্দেশ্যে প্রচার করছে। মিশরীয় সংবাদমাধ্যম অনটিভিকে তিনি বলেন, আমি যখন চরমপন্থাকে শ্রেয় মনে করতাম তখন এটি এবং এ ধরনের আরও ফতোয়া দিয়েছিলাম। বর্তমানে আমি এসব ফতোয়া পরিত্যক্ত ঘোষণা করছি।

অলিভার বাক্সটার : মা হয়ে গেলেন বাবা, সন্তানরা বিপদে

সন্তানরা একদিন যাকে ‘মা’ বলে জানত, তাকেই এখন ‘বাবা’ ডাকতে হচ্ছে। মা থেকে বাবায় বদলে যাওয়া ওই নারীর নাম অলিভার বাক্সটার। দুনিয়া যাকে এক সুন্দরী মডেল বলেই জানে।
আসলে নিখুঁত সুন্দরী বলতে যা বোঝায় অলিভার বাক্সটারের রূপটা ছিল তেমনই। অন্যতম সেরা মডেলদের মধ্যে রাখা হয়েছিল ২১ বছরের সুন্দরী অলিভারকে।
বিবাহিত অলিভার দুই সন্তানের জননী। বিবাহিত জীবনটাও ভালই যাচ্ছিল। কেবল সুখ ছিল না মনে। কারণ বাহিরে নারী হলেও ভেতরের অনুভবে নিজেকে পুরুষ ভাবতেন তিনি। আর পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে তার কোনো সুখ আসে না। তবু ইচ্ছার বিরুদ্ধেও স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতেন, করতে বাধ্য হতেন।
এই বিষয়টাতে অলিভার এতই কষ্ট পেতেন যে, তিনি আত্মহত্যা করার কথা ভাবতে শুরু করেন। পরে মত বদলায়। নিজের স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার পর নারীর বেশ `ত্যাগ করে তিনি ডাক্তারি উপায়ে পুরুষে পরিণত হন। নতুন বছরের শুরুতেই তিনি এ কাজ করে। মা থেকে এখন তিনি হয়ে গেছেন দুই সন্তানের বাবা। এখন অলিভার দারুণ খুশি। পেয়ে গেছেন একজন গার্লফ্রেন্ডও। বিয়ে করবেন বলেও ভাবছেন।
তবে খুবই অসুবিধায় পড়েছে সন্তানরা। কারণ যে ব্যক্তিকে সারা জীবন মা বলে ডেকেছেন, তাকেই এখন বাবা বলে ডাকতে হচ্ছে। হঠাৎ করেই এমন বদল রপ্ত হতেও সময় লাগে বৈকি।

স্ত্রীর নির্যাতনে স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা!

বরিশালে আগৈলঝাড়ায় স্বেচ্ছাচারী স্ত্রীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্বামীর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি সঞ্জিত বৈদ্য জানান, তিনি ওয়ার্ল্ড ভিশন স্বাস্থ্য প্রকল্পে কর্মী। দেড় বছর পূর্বে একই এলাকার শস্পার সাথে তার বিয়ে হয়। শস্পাও স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা চার্চ অফ বাংলাদেশ সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র উপজেলার ইন্দুরকানী এলাকায় কর্মরত রয়েছে।
বিয়ের পর থেকে স্ত্রী শম্পার আদেশ ও নির্দেশ ও খামখেয়ালীতে মানসিকভাবে সে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। সোমবার রাতে শস্পার সাথে তার বিবাদের পর বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্ঠা করে সঞ্জিত।
মুমুর্ষ অবস্থায় বাড়ির লোকজন তাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তবে বর্মমানে সে সঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

মহানবীর জন্মদিন পালন পাপ: গ্র্যান্ড মুফতি

সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ আল-আশেখ সতর্ক করে বলেছেন, ‘মহানবী (সাঃ) জন্মদিন পালন করা একটা কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। এ সংস্কৃতি অনৈতিকভাবে ধর্মের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এটা (জন্মদিন পালন) গর্হিত কাজ। যা ইসলামের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ইসলাম প্রবর্তনের ৩০০ বছর পর মহানবীর সাহবিদের সঙ্গীরা এ পাপ কাজ করেছেন।’
গতকাল শুক্রবার রিয়াদে ইমাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহ মসজিদে খুৎবায় তিনি এসব কথা বলেন। তার মত্যে, প্রত্যেক মুসলমানের উচিত মহানবীর দেখানো পথ অনুসরণ করা। তার সুন্নাহ মতো চলা।
গ্র্যান্ড মুফতি বলেন, ‘যারা মহানবীর জন্মদিন পালন করতে অন্যকে উদ্বুদ্ধ করে তারা শয়তান ও পথভ্রষ্ট। প্রত্যেক মুসলমানের উচিত আল্লাহর প্রেরিত দূতকে (মহানবী) অনুসরণ করা এবং তার দেখানো পথে চলে। আর এভাবেই মহানবীর প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রকাশ করা সম্ভব।’
তিনি বলেন, “সর্বশক্তিমান আল্লাহ মানব জাতির উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘যদি তুমি আল্লাহকে ভালোবাস তাহলে তাকে (মহানবী) অনুসরণ করো।’ আল্লাহ তোমার সব পাপ ক্ষমা করবে।” মানবজাতির পথ প্রদর্শক হিসেবে মহানবীর ওপর আস্থা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অবশ্য করণীয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সূত্র: আরব নিউজ।