জীবনে এমন কত বিচ্ছেদ, কত মৃত্যু আছে, ফিরিয়া লাভ কি? পৃথিবীতে কে কাহার…

khajaবাংলাদেশে শিল্পকলা আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসেবে যে ছয়জন শিল্পীকে গণ্য করা হয়, খাজা শফিক আহমেদ তাদের অন্যতম। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, কামরুল হাসান, আনোয়ারুল হক, শফিউদ্দিন আহমেদ এবং শফিকুল আমিনের সহকর্মী ও সহযোগী ছিলেন তিনি।
ঢাকার নবাব পরিবারে এই শিল্পীর জন্ম ১৯২৫ সালে। স্কুল পর্যায়ের পাঠ শেষ করে কলকাতা গভর্নমেন্ট আর্ট স্কুলে ভর্তি হন। পাঁচ বছরের শিক্ষা সমাপ্ত করেন ১৯৪৬ সালে। এরপর কলম্বো পরিকল্পনার অধীনে স্কলার হিসেবে ম্যানিলার ফিলিপাইন্স কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড ট্রেডস থেকে শিল্পশিক্ষার উপকরণ ও পরিচালনা বিষয়ে বিশেষ ট্রেনিং গ্রহণ করেন। চার বছর কলকাতায় ব্যবহারিক ও ললিতকলায় উন্নতমানের শিক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন।
১৯৪৮ সালে ঢাকা গভর্নমেন্ট আর্ট ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯৫০ সালে এই ইন্সটিটিউটে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এখানে ব্যবহারিক শিল্পকলা বিভাগের (বর্তমান গ্রাফিক ডিজাইন) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে সপরিবারে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে যান; কিন্তু সেখান থেকে আর দেশে ফিরতে পারেননি। ১৯৭১ সালের নভেম্বরে তিনি করাচিতে মৃত্যুবরণ করেন।
সাধারণত তেলরঙ টেম্পেরার মাধ্যমে তিনি ছবি আঁকতেন। তিনি সে সময় পাকিস্তানের প্রায় সব উল্লেখযোগ্য প্রদর্শনীতে নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ করেন। গ্রাফিক ডিজাইনের ক্ষেত্রে তার অনেক অবদান রয়েছে। হোটেল পূর্বাণীতে তার একটি মোজাইক মাধ্যমে ম্যুরাল চিত্র বর্তমান।
একজন আদর্শ শিল্পশিক্ষক হিসেবে তিনি অনেক সুনাম অর্জন করেছিলেন।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান