জীবনে এমন কত বিচ্ছেদ, কত মৃত্যু আছে, ফিরিয়া লাভ কি? পৃথিবীতে কে কাহার…

এমনিভাবে সাজিয়ে তোলা মাহমুদুল হকের উপন্যাস ‘জীবন আমার বোন’, বহুমাত্রিকতায় সমৃদ্ধ যে কাহিনী মানবিকতায় এতোই সমুজ্জ্বল যে এর অনিঃশেষ তাত্‍পর্য প্রত্যাশিত ধারার বিশেস্নষণে বুঝে-ওঠা যাবে না, মাহমুদুল হকের রচনার প্রতীক ও ইঙ্গিত সবসময়ে ছাপিয়ে যেতে চাইছে গত্‍বাঁধা চিনত্মা, সেই পরিচয়ই মেলে ধরেছে ‘জীবন আমার বোন’

মাহমুদুল হক লেখালেখির জন্য প্রসত্মুত হতে অনেকটা সময় নিয়েছেন৷ এই প্রসত্মুতিপর্বে যেসব লেখা তিনি লিখেছেন, প্রায় সর্বাংশে ছাপা হয়েছে অখ্যাত অবহেলিত গৌণ পত্র-পত্রিকায়৷ কোনো সাহিত্যান্দোলনে তিনি জড়িত হননি, সাহিত্যিকদের সানি্নধ্যে চললে-ফিরলেও সাহিত্য-অভিলাষ বিশেষ ব্যক্ত করেননি৷ ফলে লেখক হিসেবে পাঠকেরা তাঁকে প্রথম জানলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এবং যে দুই উপন্যাস গোড়ায় প্রকাশিত হলো ‘যেখানে খঞ্জনা পাখী’ (পরে নাম পাল্টে ‘অনুর পাঠশালা’ হিসেবে প্রকাশিত) এবং ‘নিরাপদ তন্দ্রা’ তা সহজেই জানান দেয় মধ্য-তিরিশ বয়সের লেখকের এই প্রথম রচনা নয়৷ উভয় গ্রন্থ দৃঢ়সংবদ্ধ ভাষা ও কাহিনী নির্মাণে দৰতার যে প্রকাশ ঘটায় তা পূর্বপরিশ্রমের আভাস যোগায়৷ এর আগে তিনি অজস্র গল্প লিখেছেন বলে জানা যায়, অনত্মত একটি উপন্যাসও লিখেছিলেন বলে শোনা যায়, কিনত্মু কেউ সেসবের হদিশ করেনি, আর তিনি তো আগাগোড়াই নিজের লেখা বিষয়ে স্বল্পবাক, প্রায় বাকহীনই বলা যায়, তাই সেসব লেখালেখি প্রকাশ্য হলেও থেকে গেছে প্রায় অনত্মরালে, প্রসত্মুতিপর্বের খেয়ালখুশির রচনা হিসেবে৷

লেখক হিসেবে খুব বড়ভাবে মাহমুদুল হক দাগ কাটলেন তাঁর তৃতীয় গ্রন্থ ‘জীবন আমার বোন’ দ্বারা৷ একে বলা যায় প্রসত্মুতি সম্পন্ন করে নিজস্ব কণ্ঠে নিজস্ব মেজাজে লেখকের আত্মপ্রকাশ৷ এই কাহিনীর উপজীব্য জাতির সদ্য-অর্জিত বিপুলা অভিজ্ঞতা, যার বয়ান কোনো একক লেখকের পৰে এক রচনায় দেয়া সম্ভব নয়, নানাজনকে নানাভাবে যে বয়ান দিয়ে যেতে হবে৷ ‘জীবন আমার বোন’ উপন্যাসের উপজীব্য সমকাল, আর এই সমকাল অর্থ মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর অভিজ্ঞতা, সমকালীন লেখকেরা যে অভিজ্ঞতাকে এড়িয়ে জীবনের পরিচয়দানে ব্রতী হতে পারেন না৷ তবে সেই ঘরানার সব উপন্যাসই মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস কিনা এমন প্রশ্ন থেকে যায়৷ এৰেত্রে রশীদ করীমের ‘আমার যত গস্নানি’ এবং মাহমুদুল হকের ‘জীবন আমার বোন’ দুটি তাত্‍পর্যময় রচনা, মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় রচিত কিনত্মু মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস বলতে সংশয় রয়ে যায়৷ এৰেত্রে এ-ও স্মর্তব্য, মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস সম্পর্কিত ধারণা গণ্ডিবদ্ধ না করে যদি একাত্তরের দিনগুলোর সঙ্গে সংশিস্নষ্ট মানবিক বিভিন্ন বিসত্মারকে এই সংজ্ঞার পরিধিতে নিয়ে আসা যায় তবে বিতর্কের বিশেষ অবকাশ থাকে না৷ তবে সংজ্ঞা নিয়ে পণ্ডিতেরা মাথা ঘামাক, আমাদের বিবেচ্য উপন্যাসের রূপ ও রস, যে-বিচারে ‘জীবন আমার বোন’ পেয়েছে পাঠক সমালোচক উভয়ের কাছ থেকে অনন্য স্বীকৃতি৷ তবে এই উপন্যাসের বহুমাত্রিক ইঙ্গিতময়তা সাহিত্যরসবোদ্ধাদের নজর অনেকাংশে এড়িয়ে গেছে বলে একটা আৰেপ মাহমুদুল হক সবসময় বহন করেছেন৷ তাঁর স্বভাবের মতো লেখাতেও তিনি যতোটা না প্রকাশ করেন তার চেয়ে অনেক বেশি রেখেছেন আড়ালে৷ প্রতীক ও ইঙ্গিতে মাখামাখি হয়ে তাঁর কাহিনী শ্বাসরম্নদ্ধতা নিয়ে এমনভাবে এগিয়ে যায় যে পাঠকের বিশেষ ফুরসত্‍ মেলে না গল্পের গভীরে তাকাবার৷ উপন্যাসের শুরম্ন ভাইবোনের মধুর খুনসুটি দিয়ে, বাইশ বছরের উড়নচণ্ডি যুবা খোকা আর সদ্য কলেজের আঙিনায় প্রবেশকারী ছোট বোন পনেরো বছরের রঞ্জুর মধ্যে চলে কথার উতোর-চাপান৷ পিতা কাজের টানে প্রায়শ থাকেন শহরের বাইরে, যেমন এ-যাত্রায় হয়েছে, মাতৃহীন ভাইবোন ও পিতার সংসারে রঞ্জুই হাল ধরে চলে, ফলে বয়সের তুলনায় তাঁর মধ্যে কিছুটা যেন গাম্ভীর্য্যের ছাপ, তাঁদের কথায় বুদবুদের মতো জেগে ওঠে আবার মিলিয়ে যায় সমকালীনতা, ক্রিস্টাল বল-খ্যাত জেন ডিকসন কিংবা বোক্কাচিও সেভেন্টির অনিতা একবার্গ প্রসঙ্গ জানান দেয় আমরা আছি সত্তরের দোরগোড়ায় এবং এই যুবা ও সদ্য-তরম্নণী নাগরিক বোধে উজ্জ্বল, হালফিল, ঝকঝকে৷ এসব তো উপন্যাসের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য, কাহিনীসূত্রে জানান দেন লেখক, কিনত্মু এর পাশাপাশি খোকা ও রঞ্জুর কথোপকথনে অবদমিত বাসনার জটিল কুটিল রূপের চকিত ছায়াপাত যেন আমরা দেখি, বয়সের ধর্ম মেনে ঠাট্টা চলছে নানারকম, শব্দ ব্যবহারে চলে গণ্ডি মান্য করার পাশাপাশি সীমানা উপচে পড়ার প্রবণতা, চারদিনের দাঁড়ি-গোফ না-কামানো ভাইয়ের চেহারা দেখে রঞ্জুর মনত্মব্য, ‘ঠিক যেন একটা গাঁজাখোর! যা চোয়াড়ে মার্কা চেহারা হচ্ছে না তোর দিন দিন৷ ভালো করে ঠাহর করতে পারছিস কাচের হার্টে?’ জবাবে তেরিয়া হয়ে খোকাও বলে ওঠে, ‘ঠাহর কি বে? ঠাহর কি? কথার কি ছিরি, কড়ে আঙুলের মতো পুঁচকে ছুঁড়ি, তার আবার কথার বহর কত! ঠাহর, চোয়াড়ে, গতর, ঝাল লগড়ানি, কানকো মারা, পানিওয়ালি মাতারি কোথাকার৷’

মার্চ মাসের দিনগুলো ক্রমে এগিয়ে চলে এক অমোঘ পরিণতির দিকে, সেই অস্থির উত্তাল সময়ে খোকা ও রঞ্জুকে একত্রে যখন আমরা দেখি শেষবারের মতো, তাদের মধ্যে চলে চিরাচরিত খুনসুটি, ঘরে নখ কাটতে বসেছিলো রঞ্জু, নেলকাটার নিয়ে বোনের নখ কেটে দিতে বসে খোকা, কুটকুট করে রঞ্জুর পায়ের নখ কাটতে কাটতে খোকার মনে হয়, ‘এই তো সেই রঞ্জু, এ আমার কতো চেনা, রম্নপোর তোড়াপরা ঝুমঝুমি বাজানো ছোট্টবেলার সেই রঞ্জু৷ ঃরঞ্জুর সি্নগ্ধ মুখের দিকে তাকিয়ে খোকা স্বসত্মি পায়, সুস্থ হয়, এমন নির্মল এমন নিষ্কলঙ্ক হতে পারে কেবল করম্নণাধারা৷’

ঈদ সংখ্যা ‘বিচিত্রা’য় ‘জীবন আমার বোন’ পাঠানত্মে রশীদ করীম সমালোচনা লিখে অভিনন্দিত করেছিলেন লেখককে, ভাই-বোনের সম্পর্কে কিছুটা অস্বসত্মি বোধ করলেও শেষ পর্যনত্ম ছাড় দিয়েছিলেন, ইঙ্গিতময়তা বিচারে যাননি৷ তিনি লিখেছিলেন, ‘ভাইবোনদের মধ্যে কোনো আড়াল নেই! তারা এমন সব বিষয়ে অকপটে আলাপ করে, সচরাচর ভাইবোনের মধ্যে যা শোনা যায় না৷ তবুও তাঁদের এই ব্যক্তিগত সম্পর্ক অস্বাভাবিক মনে হয় না, বরং ভালোই লাগে৷’

রম্নশ কবি বরিস পাসত্মেরনাকের কবিতার শিরোনাম তুলে নিয়েছেন মাহমুদুল হক তাঁর উপন্যাসের নাম হিসেবে৷ খোকার কাছে বোন রঞ্জু ছিল জীবনসম৷ উপন্যাসের পরিসমাপ্তি এই জীবনের হারিয়ে যাওয়ায়, পঁচিশে মার্চের ভয়াল রাতে যখন ছিটকে পড়েছিল শহরবাসী, হনত্মারক সেই পরিবেষ্টনে প্রাণ-বাঁচানো আকুতি নিয়ে ছুটতে ছুটতে রঞ্জুকে হারিয়ে ফেলেছিল খোকা, ‘অচৈতন্যপ্রায় রঞ্জুকে গাছতলায় শতরঞ্চির উপর ফেলে প্রাণঘাতী গুলিবৃষ্টির ভিতর হাজার হাজার নরনারীর মতো আমিও কি ঊধর্্বশ্বাসে ছুটে পালিয়েছিলাম, ভেবে পায় না খোকা; যেন একটা দুঃস্বপ্ন, এক লৰ চলিস্নশ হাজার পায়ের তলায় পড়ে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে গিয়েছিলো কি নিরঞ্জন রঞ্জু?’

কিছুই জানে না খোকা৷ সে শুধু চেয়েছিলো রঞ্জু বেঁচে থাকুক৷ সে জানতো না এটা তার ভুল৷ একা বেঁচে থাকার অধিকার তার বিষণ্ন দেশ কিছুতেই দিতে পারে না রঞ্জুকে, খোকা পরে বুঝেছিলো৷

দেশ তাহলে একটা পুকুর৷ অঞ্জু মঞ্জুর মতো এর নিসত্মরঙ্গ নিথর তলদেশে চিরকালের জন্য হারিয়ে গিয়েছে রঞ্জু৷ এই নির্জন পুকুর পাড়ে একা একা সারাটা জীবন সে যে কি করে কাটাবে খোকা তা ভেবে পায় না; ‘সে তো জানেই সহজে তার মৃতু্য নেই, কেননা কোনো অসতর্ক মুহুর্তে যদি এমন কথা তার মনে উঁকি দেয়, তখনই রঞ্জু তাকে শাসন করে চলে, ‘দাদা, আমি না তোর বুকে থুতু দিয়েছি৷’

এভাবেই সমাপ্ত হয় উপন্যাস ‘জীবন আমার বোন’, আমরা বুঝি সমাজবিচ্ছিন্ন জীবন-উদাসী উদভ্রানত্ম খোকার জীবনকে অমোঘ নিয়তি যেন এক সূত্রে গেঁথে দেয় জাতির ভাগ্যের সঙ্গে, রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধ থেকে সহস্র যোজন দূরে দাঁড়াতে চাইলেও সময়ের প্রবল ঘূর্ণিপাক সব একাকার করে ফেলে, আমরা বুঝি একাত্তরের বিশাল মাত্রা, সব মানুষের জীবনকে যা স্পর্শ ও আলোড়িত করে৷ কিনত্মু তারপরও তো রহস্যময়তা ও ইঙ্গিতময়তার যেন শেষ হয় না, জীবনের মতোই তার অসীমতা স্পন্দিত হয় অনত্মরে৷ দূর কৈশোরে সহোদরা বোন অঞ্জু মঞ্জুর পুকুরে ডুবে যাওয়া কি জাতির আরেক দুর্ভাগ্যের ইঙ্গিত হিসেবে মাঝে-মধ্যেই ঘাই মেরে জেগে ওঠে৷ এই-ই কি সেই মানব ট্রাজেডি, যেমনটি ঘটেছে দেশভাগে, এপার-ওপার মিলিয়ে দেশমাতার যুগলকন্যার ঘটেছে সলিল সমাধি, অথবা প্রশ্ন জাগে কেন মাহমুদুল হক বললেন এক লৰ চলিস্নশ হাজার পায়ের কথা, যার নিচে পিষ্ট হয়ে গেছে নিরঞ্জন রঞ্জু৷ নিরঞ্জন! নিরঞ্জন বিশেষণই ব্যবহার করলেন কেন লেখক, কোন্ ইঙ্গিত তিনি এখানে দিতে চেয়েছেন৷

‘জীবন আমার বোন’-এর ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে আছে ইঙ্গিতময়তা, নানাভাবে আমরা পাই অপার রহস্যের হাতছানি৷ যেমন রাজীব ভাই, পাথরের কারবারি, স্ত্রী নীলা তরমুজের পেস্নট এগিয়ে দিলে তিনি সেই কাটা তরমুজের সবুজ, শাদা, লালের সিক্ত উজ্জ্বলতায় যেন একখণ্ড টুর্মেলিন দেখতে পান, খোকাকে বলেন, ‘এই দ্যাখো, তরমুজের মতো টুর্মেলিন৷ উপরটা সবুজ, তারপর শাদা, তারপর কেমন লালচে৷ এক সিংহলীর কাছ থেকে জোগাড় করেছিলাম বছর দশেক আগে৷ সবচেয়ে তাজ্জব কথা কি জানো? একটু থেমে রাজীব ভাই বললে, এই এতোদিন পর হঠাত্‍ আপনা-আপনিই চিড় খেতে শুরম্ন করেছে, সারমর্মটা বুঝলাম না -৷’

তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে এবং একাত্তরের পঁচিশে মার্চের দিন অবসানে হয়ে শুরম্ন হয়েছে কালরাত্রি৷

নীলা ভাবীর সঙ্গে ত্রিকোণ সম্পর্কের যে মোহজালে আটকা পড়ে খোকা সেখানে তান্ত্রিকতার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই, খোকার মনে হয় রাজীব ভাইয়ের কথায় যে উদাসীনতার পরিচয় তাতে আছে নীলা ভাবীর সঙ্গে তাঁর কামাতুর আরেক দুপুরের অবস্থিতি, ‘এই দুপুরে তারা ছিটকিনি তুলে দিয়েছে দরোজার, ছিটকিনি খুলে দিয়েছে সংযমের; সংযম ডেকে এনেছে পৈশাচিকতাকে, পৈশাচিকতা কেশর ফুলিয়ে দুঃখকে, দুঃখ ক্যাকটাসের গায়ে গর্ভপাতের নারকী পুষ্পকে, দংশনে ঘর্ষণে পেষণে লেহনে কামদগ্ধ নিশ্বাসে ও চুম্বনে একটি একটি করে পাপড়ি খসে পড়েছে পায়ের পাতায়, গালে গলায় কটিতটে, কাঁধে বাহুমূলে, নাভিমূলে, মর্মমূলে, অাঁখিপলস্নবে, অশ্রম্নর মুক্তাফলে, বদ্ধমুষ্টির শঙ্খে এবং শঙ্খ বের করেছে তার জিহ্বাকে, জিহ্বা সর্পকে, শ্বেতচন্দন কুঙ্কুম আর কাচপোকার টিপে নিজেকে সাজিয়েছে সর্প, কুঙ্কুম চন্দনকে নিরাপদ আশ্রয় ভেবে তার গায়ে এসে বসেছে দিব্য প্রজাপতি, শত সহস্র ফুলের নির্দোষ নির্মেঘ অবিচল বিস্মৃতি তার পাতায়-৷’

এ-যেন শত উপাচার সাজিয়ে ডাকিনী মন্ত্র শোনাচ্ছেন কোনো সিদ্ধাচার্য পুরম্নষ, প্রতিটি উপাচার ও মন্ত্রবাণী ইঙ্গিত দিচ্ছে আরো গভীরতর কোনো সত্যের৷

এমনিভাবে সাজিয়ে তোলা মাহমুদুল হকের উপন্যাস ‘জীবন আমার বোন’, বহুমাত্রিকতায় সমৃদ্ধ যে কাহিনী মানবিকতায় এতোই সমুজ্জ্বল যে এর অনিঃশেষ তাত্‍পর্য প্রত্যাশিত ধারার বিশেস্নষণে বুঝে-ওঠা যাবে না, মাহমুদুল হকের রচনার প্রতীক ও ইঙ্গিত সবসময়ে ছাপিয়ে যেতে চাইছে গত্‍বাঁধা চিনত্মা, সেই পরিচয়ই মেলে ধরেছে ‘জীবন আমার বোন’৷ একে প্রসারিত মাত্রায় বিবেচনায় নিলে যেমন আমরা বুঝতে পারবো রচনা-মাহাত্ম্য, তেমনি অনুভব করতে পারবো রচয়িতার জীবনদৃষ্টিভঙ্গি৷ কেননা শেষ পর্যনত্ম তো উপন্যাসে তিনি বলেছেন নিজেরই কথা৷

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান