জীবনে এমন কত বিচ্ছেদ, কত মৃত্যু আছে, ফিরিয়া লাভ কি? পৃথিবীতে কে কাহার…

jasim‘পল্লীকবি’ হিসেবে তার পরিচয় বেঁধে দেয়া ঠিক নয়, বরং আমাদের বাঙালি সত্তার একজন সত্যিকার মহৎ ও বড় কবি হিসেবেই তাকে শনাক্ত করা উচিতÑ যিনি প্রচলিত আধুনিক ধ্যান-ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করে সহজ সরল ভাষায় চিরায়ত পল্লী জীবনকে তুলে ধরেছেন তার কবিতায়। আমাদের আবহমান বাংলা চিরকাল টিকে থাকবে তার অমর সাহিত্য সৃষ্টির মধ্যদিয়ে। আর হয়তো আগামীতে উত্তরাধুনিক চেতনায় জসীমউদ্দীন দেশে সর্বাধুনিক ও সর্বশ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে নতুন যুগের পাঠকদের কাছে নতুনভাবে আবির্ভূত হবেন।ইকবাল আজিজ

জসীমউদ্দীন সম্পর্কে ভাবতে গেলেই মনে হয় আমাদের চিরায়ত গ্রামজীবনের এমন মহৎ রূপকার আর কে আছেন তিনি ছাড়া? পৃথিবীর সব জাতির মতো বাঙালির কাছেও গ্রাম এক আদিম জীবনের প্রতীকÑ এই গ্রামকে কেন্দ্র করেই বাঙালির সমাজ ও জীবন হাজার বছর ধরে আবর্তিত হয়েছে। ধানের ক্ষেতের পাশে মাটির কুটির, একপাশে লাউয়ের মাচা, কালো গরুটির পাশে দাঁড়িয়ে আছে কিষাণ বধূÑ এসব অন্তহীন গ্রামীণ দৃশ্য চিরায়ত বাঙালি জীবনের প্রতীক। যন্ত্রসভ্যতা যে জীবনকে স্পর্শ করেনি সেই আদিম চিরায়ত গ্রামীণ জীবন আমাদের সবাইকে দু’হাত বাড়িয়ে ডাক দেয়। বাস্তবিকই নগরজীবনের কৃত্রিমতায় হাঁপিয়ে উঠে আমরা প্রায়ই গ্রামীণ জীবনের চিরায়ত সৌন্দর্যের দিকে ছুটে যেতে চাই, আশ্রয় চাই প্রাণপণে। বাঙালির এই চিরায়ত গ্রামকে তিনি তুলে ধরেছেন তার সাহিত্যসাধনায়। বিশেষ করে জসীমউদ্দীনের কবিতায় আমাদের ফেলে আসা গ্রাম যেন কথা বলে ওঠে। অন্যান্য বাঙালি কবির সঙ্গে এখানেই তার বিশেষত্ব।
জসীমউদ্দীনের কথা ভাবতে গিয়ে আরো অনেকের মতো আমি আমার শৈশবকেই আবিষ্কার করি বারবার। সেই শৈশবে ছয়-সাত বছর বয়সে যখন প্রথম ছড়া-কবিতা পড়তে শুরু করেছি, তখন রবীন্দ্র-নজরুলের পাশাপাশি জসীমউদ্দীনের নামটিও অপরিহার্যভাবে হৃদয়ে গেঁথে গিয়েছিল। বস্তুত আমার শৈশব ও কৈশোরে তিনি ছিলেন আমার অতি পরিচিত কবিব্যক্তিত্ব আমার স্বপ্নের মানুষদের একজন। এখন আমি সুস্পষ্টভাবে স্মরণ করতে পারছি, শৈশবে রবীন্দ্র-নজরুলের পর সর্বাগ্রে যে কবিটির নাম আমি জেনেছিলাম, তিনি হলেন জসীমউদ্দীন। বই খুলে প্রায়ই আবৃত্তি করতাম।
‘রাখাল ছেলে রাখাল ছেলে বারেক ফিরে চাও
বাঁকা গাঁয়ের পথটি ধরে কোথায় চলে যাও?’
শৈশবে পড়া এসব কবিতা কি কোনোদিন পুরনো হবে? আমার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে আমার মাতুলালয় নাটোরে। আমার জন্মও কিংবদন্তির সেই ছোট্ট প্রাচীন শহরে। রাজা-মহারাজাদের শহর নাটোর। এ শহরে আছে রাজপ্রাসাদ, প্রাচীন ঘরবাড়ি, দীঘি, রাজকীয় পাকাঘাট এবং শহরের একমাত্র পরিচিত বাহন ঘোড়ায় টানা টমটম গাড়ি। অবশ্য রিকশা বা মোটরগাড়িও দু’একটি ছিল, তবে তা সংখ্যায় খুবই কম। ছোট্ট শহরের সুবিস্তীর্ণ গ্রাম আমাদের নিয়ে যেতো রূপকথার রাজ্যে। তখন আমরা নিজেদের পরিচয় দিতাম শহরের ছেলে হিসেবে; কিন্তু গ্রামে যেতে দশ মিনিটও সময় লাগতো না সেই ছোট্ট মায়াবী শহর থেকে। এভাবে জসীমউদ্দীনের কবিতার পাশাপাশি গাঁয়ের সহজ সরল রূপটিও খুব কাছ থেকে অনুভব করতে পেরেছি শৈশব থেকে। নাটোর শহর থেকে তিন মাইল দূরে তেবাড়িয়ায় আমার নানির বাপের বাড়ি। সেই আমলে তা মনে হতো বিজন গাঁয়ের মধ্যে এক রহস্যময় বাড়ি। বাড়ির সঙ্গে একটি প্রাচীন মসজিদ, দীঘি ও বিশাল বাগান। সেই বাড়ির চারপাশে পল্লী জীবনের আদিম রূপটি অবলোকন করতাম। ঢেঁকিঘরে ঢেঁকিতে পাড় দিচ্ছে কিষাণ বধূ, মাথাল মাথায় কৃষক লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করছে। অনেক রাতে যখন আমরা টমটমে করে নাটোর শহরে ফিরতাম, তখন দেখতাম মেঠোপথে জোনাকির আলো ঝিলমিল করে জ্বলছে, পথের পাশে গাছের ডাল থেকে একটি অচেনা পাখি হয়তো শব্দ করে ডানা মেলে উড়ে গেল। আমরাও চমকে উঠলাম টমটমে বসে। এভাবে গ্রামজীবনকে চেনার পাশাপাশি জসীমউদ্দীনের কবিতার মধ্যদিয়ে গ্রামের চিরায়ত রূপটি উপলব্ধি করেছিলাম।
এখন বুঝতে পারি, জসীমউদ্দীনের কবিত্ব ছিল কতো খাঁটিÑ যা আমৃত্যু মানুষের হৃদয়ে জড়িয়ে থাকে। ক্লাসের পঞ্চম বা ষষ্ঠ শ্রেণীতে উঠে জসীমউদ্দীনের কবিতার সঙ্গে আরো নিবিড়ভাবে পরিচয় হই। ক্লাসের সব বাংলার শিক্ষককেই দেখতাম রবীন্দ্র-নজরুলের পাশাপাশি জসীমউদ্দীনের কথা উঠলেই তারা যেন কিছুটা ভাবপ্রবণ হয়ে উঠতেন, বলতেন, পল্লীকবি জসীমউদ্দীন বাংলা কবিতায় একটি আলাদা রীতির প্রবর্তন করেছেন। বাঙালির পল্লী জীবনের আর কেউ এমন নিপুণভাবে তুলে ধরেননি। শিক্ষকরা জসীমউদ্দীনের অমর সৃষ্টি হিসেবে ‘কবর’ কবিতার কথা উল্লেখ করতেন এবং বলতেন, ‘নকশি কাঁথার মাঠ’ ও ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ কাব্যগ্রন্থ দুটির কথা। এর মধ্যে সোজন বাদিয়ার ঘাট বইটি আমি আমাদের পারিবারিক বইয়ের আলমারিতে পেয়েছিলাম। আমার মা তার বিয়েতে যেসব উপহার পেয়েছিলেন, তার মধ্যে এ বইটি অন্যতম। এ বইটি তিনি অত্যন্ত যতœসহকারে সংরক্ষণ করেছিলেন। বইটির প্রচ্ছদচিত্রটি এখনো আমার স্মরণে আছে। একটি ব্যাপার গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারি আর তা হলো, আমার শৈশব-কৈশোরে কবি হিসেবে জসীমউদ্দীনের পরিচিতি ছিল রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুলের পরপরই এবং দেশজুড়ে তার কবি ভাবমূর্তিটি সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল।
ষষ্ঠ বা সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় শিক্ষকদের কাছ থেকে জেনেছিলাম জসীমউদ্দীন যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তখনই তার ‘কবর’ কবিতাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। আর বিখ্যাত লোকসাহিত্য গবেষক দীনেশ চন্দ্র সেন নাকি জসীমউদ্দীনকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘কবর’ কবিতা পড়ে তিনি সারারাত কেঁদেছেন। জানি না এসব কথা সত্য কি না। তবে আমাদের শৈশব-কৈশোরে কবি হিসেবে জসীমউদ্দীনের অবস্থান ছিল খুবই জোরালো। নাটোর জিন্নাহ মডেল হাইস্কুলে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সে সময় ‘কবর’ কবিতাটি আবৃত্তি ছিল নিয়মিত ব্যাপার। অন্য সব স্কুলে হয়তো এমনটা ছিল না। কিন্তু নাটোর জিন্নাহ স্কুলে তা হয়েছিল একটি বিশেষ কারণে। স্কুলের শ্রেষ্ঠ আবৃত্তিকার আবদুল মজিদ প্রতিবছর বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ‘কবর’ কবিতাটি আবৃত্তি করতো অনেকটা নাটকীয় ঢঙে। জীবনে আমি এ ধরনের আবৃত্তি দেখিনি অন্য কোথাও। একটি ছোটখাটো নাটকের মতো ছিল ব্যাপারটি। মজিদ মুখে পাকা দাড়ি লাগিয়ে বুড়ো দাদু সাজতো এবং স্কুলের নিম্নশ্রেণীর একটি কম বয়সী বালককে নাতি সাজিয়ে তার ঘাড়ের উপর ভর দিয়ে লাঠি হাতে কুঁজো হয়ে কবিতাটি আবৃত্তি করতো। কবিতাটি আবৃত্তি করার সময় সে নিজে কাঁদতো এবং উপস্থিত অনেক দর্শককেও আমি সে সময় কাঁদতে দেখেছি। অবশ্য আমি কোনোদিন কাঁদিনি। আমার বরং কৈশোরেই হাসি পেতো আবৃত্তির এই অতি নাটকীয় ধরনটি দেখে। কিন্তু তখন আমার মনে হয়, ব্যাপারটির মধ্যে যে আন্তরিকতা ও সততা ছিল, তা বাস্তবিকই বিরল। এখন এই স্যাটেলাইট টিভির যুগে মানুষ কবিতা শুনে কাঁদতে ভুলে গেছে এবং অনেক বেশি যান্ত্রিক হয়ে গেছে।
শুধু কবিতাই নয়, ধীরে ধীরে জসীমউদ্দীনের গদ্যের সঙ্গেও পরিচিত হতে শুরু করি। সেই কৈশোরে নাটোরে সরাসরি তথ্য কেন্দ্রের পাঠাগারে দুপুরে নিয়মিত যেতাম গল্পের বই পড়তে। তখনই পড়ি জসীমউদ্দীনের ‘বাঙালির হাসির গল্প’। দুই খ-ে প্রকাশিত এ বইটি মূলত বাংলার পল্লী জীবনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাসির গল্পের একটি সংগৃহীত ও সম্পাদিত রূপ। কিন্তু জসীমউদ্দীনের লেখনীর গুণে গ্রামবাংলার এসব পরিচিত হাসির গল্পগুলো রীতিমতো সুখপাঠ্য সাহিত্যের মর্যাদা পেয়েছে। আমি বাংলা সাহিত্যে যতো হাসির গল্প পড়েছি, তার মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় জসীমউদ্দীনের ‘বাঙালির হাসির গল্প’। গল্পগুলোর একটি পঙ্ক্তিও আরোপিত বা কৃত্রিম মনে হয়নি। আজো মনে আছে একটি গল্পের বিশেষ সেই ‘মন্ত্রটি’। গল্পটি পাড়াগাঁয়ের এক নাপিত ও তার দুই বৌকে নিয়ে। মন্ত্রটি এ রকম!
‘এসেছিলো নিমাই দত্ত
বলে গেছে সকল তত্ত্ব
তুমি নাকি এমন তেমন।’
যাহোক গল্পটি আর বললাম না, সবাইকে গল্পটি পড়ে নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। জসীমউদ্দীন বিরচিত কিংবা সংগৃহীত এসব গল্প নিঃসন্দেহে বিশ্বসাহিত্যের সেরা হাসির গল্পগুলোর পর্যায়ে পড়ে। এতোদিনে এই গল্পগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভাষায় অনূদিত হয়ে বিদেশে প্রচলিত হওয়া উচিত ছিল।
ছেলেবেলাতেই আমাদের স্কুলের শিক্ষক জানিয়েছিলেন, জসীমউদ্দীনের কাহিনী কাব্য ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। আমার কৈশোরেই ব্যাপারটি অনেক বড় চোখে দেখেছিলাম, জসীমউদ্দীন হয়ে উঠেছিলেন অনেক দূরের এক কিংবদন্তির নায়ক। ভাবি কতো সহজ সুন্দর ছিল জসীমউদ্দীনের কবিতা, যেন আজো কানে বাজে স্কুলের পাঠ্যবইয়ে পড়া সেই কবিতাটিÑ
‘তুমি যাবে ভাইÑ যাবে মোর সাথে আমাদের ছোট গাঁয়Ñ
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়।’
কলেজজীবনে প্রবেশের পর ক্রমেই জীবনানন্দ-বুদ্ধদেব-বিষ্ণু দে প্রমুখের আধুনিক কবিতার ভুবনে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে যেন জসীমউদ্দীনের কবিতার সহজ সরল স্নিগ্ধ পরিম-ল থেকে ক্রমেই দূরে সরে আসতে থাকি; আধুনিকতার এক জটিল আবর্তে আমার মনের মানচিত্র গড়ে উঠতে থাকে। ক্রমেই পরিচয় হয় শার্ল বোদলেয়ার, ডাবলু বি ইয়েটস, টিএস এলিয়ট, পাবলো নেরুদা, ডিলান টমাস প্রমুখের কাব্যশৈলীর সঙ্গে। ক্রমেই ধূসর থেকে ধূসরতর হতে থাকে জসীমউদ্দীনের স্মৃতি। তবে কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে নিয়েছিলাম ‘অ্যাডভান্সড বেঙ্গলি’। অন্যতম পাঠ্য ছিল ‘নকশী কাঁথার মাঠ’। এ কাব্যগ্রন্থটি আমার চেতনায় রীতিমতো আলোড়নের সৃষ্টি করেছিল এবং মনের এ অভিভূত অবস্থাটি পরে আরো বিকশিত হয়েছে। সে সময় বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এ কাব্যকাহিনীকে অনুভব করেছি। আলেকজান্ডার পুশকিনের কাহিনী অবলম্বনে কিছু রুশ ধ্রুপদী চলচ্চিত্র দেখার পর মনে হয়েছিল জসীমউদ্দীনের ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ অবলম্বনে একটি ‘চলচ্চিত্র কাব্য’ নির্মাণ করা সম্ভব। আমার এক সময় স্বপ্ন ছিল, সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণ করবো। কিন্তু জীবনের কঠিন বাস্তবতায় প্রতিদিন অনেক স্বপ্নের সমাধি ঘটে; তেমনি বাস্তবতার নিষ্করুণ জাঁতাকলে আমার চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বপ্নও সেই কবে হারিয়ে গেছে। তবু মনে হয়, যদি আমি কোনোদিন চলচ্চিত্র নির্মাণ করতাম, তবে অবশ্যই জসীমউদ্দীনের ‘নকশী কাঁথার মাঠ’-এর চলচ্চিত্র রূপ দিতাম।
জীবনের অনেক সময় কেটে যাওয়ার পর তখন মনে হয়, আমাদের নতুন প্রজন্ম হয়তো আমাদের মতো এতো গভীরভাবে জসীমউদ্দীনকে পেল না। জসীমউদ্দীন যতোদিন জীবিত ছিলেন ততোদিন তাকে অভিহিত করা হতো ‘পল্লীকবি জসীমউদ্দীন’ বলে। তিনি নিজেও তার সম্পর্কে বহুল প্রচলিত এই ‘শিরোপাটিকে’ প্রত্যাখ্যান করেননি। কিন্তু ‘পল্লীকবি’ হিসেবে তার পরিচয় বেঁধে দেয়া ঠিক নয়, বরং আমাদের বাঙালি সত্তার একজন সত্যিকার মহৎ ও বড় কবি হিসেবেই তাকে শনাক্ত করা উচিতÑ যিনি প্রচলিত আধুনিক ধ্যান-ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করে সহজ সরল ভাষায় চিরায়ত পল্লী জীবনকে তুলে ধরেছেন তার কবিতায়। আমাদের আবহমান বাংলা চিরকাল টিকে থাকবে তার অমর সাহিত্য সৃষ্টির মধ্যদিয়ে। আর হয়তো আগামীতে উত্তরাধুনিক চেতনায় জসীমউদ্দীন দেশে সর্বাধুনিক ও সর্বশ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে নতুন যুগের পাঠকদের কাছে নতুনভাবে আবির্ভূত হবেন।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান