আপনি কি কখনো ‘যৌন উপশম (সেক্সুয়াল হিলিং)’ নামক গানটি শুনেছেন? এটা কোনও গুজব নয়। যৌন মিলন সত্যি সত্যিই মানুষের দেহ ও মনকে সতেজ-প্রফুল্যই রাখে না অনেক রোগ বালাইও প্রতিরোধ করে থাকে।
অনেকেই বলে থাকেন, পুরুষদের জন্য এটা সর্বরোগের মহৌষধ। এ কারণে পুরুষদের উচিৎ সঙ্গীনিকে নিয়মিত কাছে টেনে নেয়া। ঢাকাটাইমস পাঠকদের জন্য এর পাঁচটি উপকারিতা তুলে ধরা হল।
শরীর চর্চার সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি : সঙ্গীনির সাথে দৈহিক ভালোবাসায় মিলিত হওয়া শরীরচর্চার একটি উত্তম পদ্ধতি। দৈহিক মিলনে শরীর থেকে প্রচুর পরিমান শক্তি ক্ষয় হয়। আপনি যদি সপ্তাহে অন্তত তিনবার ১৫ মিনিট করে সঙ্গীনির সাথে একবছর মিলিত হন তাহলে ৭৫ মাইল দৌড়ালে আপনার যতটুক শক্তি ক্ষয় হত তার সমান শক্তি ক্ষয় হবে!
সঙ্গীর সঙ্গে মিলনের সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়ায় মানবদেহের কোষগুলোতে অক্সিজেনের পরিমান বেড়ে যায়। আর এসময় শরীরে যে পরিমান টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদিত হয় তা আপনার হাড় ও মাংসপেশীকে আরও শক্তিশালি করবে।
ব্যাথার উপশম : ‘হানি, আজ বাদ দাও; আমার মাথা ব্যথা করছে’, এই ধরনের অজুহাতে যৌন মিলন থেকে আর বিরত থাকা যাবেনা। এই সময় নারী-পুরুষ উভয়েরই শরীরে প্রচুর পরিমান এনডোরফিন হরমোন উৎপন্ন হয়। এই হরমোন পেইন কিলারের কাজ করে।
ভারতীয় বিশেষজ্ঞ জিনা অজডেন পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে যৌন উদ্দীপনা ও চুড়ান্ত যৌন সুখানুভুতির (অরগাজম) সময় নারীরা কোনো ব্যথা অনুভব করেননা। এছাড়া নিয়মিত মিলনে পুরো সন্তান উৎপাদন প্রক্রিয়াও সচল থাকে। এছাড়া নারীদের উর্বরতা বাড়ে ও মেনোপোজ আসে দেরিতে।
প্রোস্টেট গ্রন্থির সুরক্ষা : নিয়মিত মিলন না করলে পুরুষদের শরীরে উৎপাদিত বীর্য প্রোস্টেট গ্রন্থিতে জমা হয়ে থাকে। এতে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু নিয়মিত একাজ করলে এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আর বুড়ো বয়স পর্যন্ত প্রোস্টেট গ্রন্থি সুস্থ্য থাকবে।
লিঙ্গোত্থানে ব্যার্থতা দূর হবে : চল্লিশোর্ধ বয়সী পুরুষদের ৫০ শতাংশই লিঙ্গোত্থানে ব্যর্থতা রোগে ভোগেন। এমনকি অনেক তরুণ বয়সীরাও এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। নিয়মিত যৌন মিলনে এই সমস্যা দূর হবে।
ঘটনা অনেকটা ‘প্র্যাক্টিস মেকস এ ম্যান পারফেক্ট’ প্রবাদের মতো। ডাক্তাররাও বলে থাকেন, আপনি নিজের যৌনাঙ্গকে যত বেশি সক্রিয় রাখবেন ততই আপনার পারফরমেন্স ভালো হবে।
মানসিক চাপ থেকে মুক্তি : এটা একটা বৈজ্ঞানিক সত্য যে, নারী-পুরুষের মিলনে সহজেই মানসিক চাপ দূর হয়। মিলনের সময় মানবদেহে প্রচুর পরিমান ডোপামিন হরমোন উৎপন্ন হয়। ডোপামিন হরমোন বিষন্নতা তৈরিকারী হরমোন এনডোরফিনের সঙ্গে লড়াই করে।
ঢাকাটাইমস
মন্তব্য করুন